ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫
বুধবার (২৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাবটি ৭১-১৩ ভোটে পাস হয়। যদিও প্রস্তাবটির আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তবুও এতে বলা হয়েছে:
“ইহুদি, সামারিয়া ও জর্ডান উপত্যকায় ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করা হবে।”
উল্লেখ্য, ইসরায়েল এই অঞ্চলগুলোকে পশ্চিম তীরের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করে।
প্রস্তাবে দাবি করা হয়,
"পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে দেশের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে এবং ইহুদি জনগণের ‘নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণ বসবাসের অধিকার’ নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকবে না।”
এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি জোট। যদিও এটি এখনই কার্যকর কোনো আইন নয়, তবুও বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে পুরোপুরি দখলদার নীতির পথ প্রশস্ত করতে পারে এই উদ্যোগ।
প্রস্তাবটির সূচনা হয়েছিল গত বছর, কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পক্ষ থেকে। তিনি নিজেই একটি অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে বসবাস করেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পশ্চিম তীর ও ইসরায়েলি বসতির প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।
পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম—সবকিছুই ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এই অঞ্চলগুলোতে ইসরায়েলের উপস্থিতি অবৈধ দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচিত।
এমনকি কিছু ইসরায়েলি বসতি ইসরায়েলের নিজস্ব আইনেও অবৈধ বলে গণ্য হয়।
বর্তমানে পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি এবং ৫ লাখের বেশি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছেন। এই বসতি সম্প্রসারণ বহুদিন ধরেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের কেন্দ্রে রয়েছে।
#ইসরায়েল #পশ্চিম_তীর #নেসেট #ফিলিস্তিন #নেতানিয়াহু #বেজালেল_স্মোট্রিচ #বসতি_বিতর্ক #জর্ডান_ভ্যালি #ইহুদি_বসতি #ইসরায়েল_ফিলিস্তিন #MiddleEast #AnnexationPlan #BreakingNews