ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স-এর নেতৃত্বে একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন:
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ
অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ
ইউনিসেফের চিফ অব ওয়াশ পিটার জর্জ এল. ম্যাস
চিফ অব ফিল্ড সার্ভিসেস ফ্রাঙ্কো গার্সিয়া
প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (জলবায়ু) ভ্যালেন্টিনা স্পিনেডি
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন:
“জলবায়ু অভিযোজনের প্রতিটি পদক্ষেপে জবাবদিহিতা, সমন্বয় এবং তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক।”
তিনি আরও বলেন:
“চিকিৎসা বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় ইনসিনারেশনের পরিবর্তে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে যেতে হবে। তরুণদের এসব বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করাই হবে অভিযোজনের মূল শক্তি।”
ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন:
“জলবায়ু সংকটে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জীবন, শিক্ষা ও পুষ্টি সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে। ইউনিসেফ তরুণদের জলবায়ু সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে নিয়মিত পরামর্শ সভা ও সংলাপের জন্য কাঠামোগত একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার, যাতে তাদের মতামত প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিফলিত হয়।
ইউনিসেফ একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যেখানে শিশুদের কণ্ঠে পরিবেশবান্ধব বার্তা তুলে ধরা হবে। পরিবেশ উপদেষ্টা প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন:
“এই ডকুমেন্টারিগুলো বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।”
পরিবেশ শিক্ষা ও অভিযোজন কর্মপরিকল্পনায় যা অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
বর্জ্য পৃথকীকরণ ও পুনর্ব্যবহার
ছাত্র নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি
স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি
স্কুলভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ
দুই পক্ষই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষম নেতৃত্ব গড়ে তোলার, তরুণদের অভিযোজন নীতিতে সম্পৃক্ত করার, এবং পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এখন সময়ের দাবি। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অভিযোজন সক্ষম করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
#ClimateAction #YouthLeadership #UNICEF #বাংলাদেশ #জলবায়ুপরিবর্তন