ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫
আপডেট : ২১ মে ২০২৫
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এবং অস্ত্র ও প্রযুক্তি খাতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইইউ-ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কাল্লাস এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন।
পোস্টে কাল্লাস বলেন,
“একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সিরিয়া পুনর্নির্মাণে আমরা সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকতে চাই।”
তিনি আরও জানান, “গত ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় ইইউ সবসময় সিরীয় জনগণের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”
রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপরই ইইউর এই নীতিগত পরিবর্তন এলো।
ইইউ’র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে—
বাশার আল আসাদের শাসনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে
দমনমূলক ব্যবহারের জন্য উপযোগী প্রযুক্তি ও অস্ত্র সরবরাহেও নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে
যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি এক্স-এ দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
“ইইউয়ের এ সিদ্ধান্ত দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে জোরদার করবে।”
রয়টার্স জানায়, ইইউ ইতোমধ্যেই জ্বালানি, পরিবহন ও পুনর্গঠন খাতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।