ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে। তবে সাইরেন বাজতে শুরু করলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান। রাজধানী তেল আবিবের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
প্রথম হামলাটি হয় ভোর ৩টা নাগাদ, যার পরপরই মোবাইল অ্যাপ এবং অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিকদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। মাগেন ডেভিড আদম জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়ার সময় একজন ব্যক্তি হালকা আঘাত পেয়েছেন।
হুতিরা এই হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, তারা ওই রাতে দুটি ড্রোনও ইসরায়েলের দিকে পাঠিয়েছে।
দুপুরের আগ মুহূর্তে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়, যা ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়। জেরুজালেম, পশ্চিমতীর এবং ডেড সি-সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সাইরেন বাজানো হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের পর আকাশে বিস্ফোরণের ঝলকানি।
এই হামলা নতুন কিছু নয়। চলতি মাসের শুরুতে হুতির একটি ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের এলাকায় আঘাত হানে, যাতে কমপক্ষে ৬ জন আহত হন। এর পরপরই একাধিক আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, যদিও কিছু সংস্থা পরে তাদের পরিষেবা আবার চালু করেছে।
হুতি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক অস্ত্রবিরতির পর তারা কিছুটা বিরতি নিলেও ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান পুনরায় শুরু হলে, হুতিরা আবারও হামলা শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ৩৭টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্তত ১০টি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।