ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে সিন্ধু নদী পানি বণ্টন চুক্তি আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। মোদির বক্তব্যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা নীতি এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার বার্তা স্পষ্ট।
বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে হওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন:
“পেহেলগামের হামলা গোটা ভারতকে ব্যথিত করেছে। তবে গোটা বিশ্ব দেখেছে, ভারত কিভাবে ২২ মিনিটে জবাব দিতে পারে। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটি এখন ‘আইসিইউতে’ রয়েছে।
১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু নদী পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায়।
এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাব নদীর পানি পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে, বিয়াস, রাভি ও সুতলজ নদীর পানি ভারতের জন্য নির্ধারিত।
তবে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এই ঐতিহাসিক চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন:
“যারা ভারতের মাটিতে সিঁদুর মুছে দিতে চেয়েছিল, তাদের মাটিতেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের অধিকার থাকা পানি এখন ভারতের কৃষকই ব্যবহার করবেন।”
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই ভারতের সিন্ধু চুক্তি কার্যকারিতা স্থগিতের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি জাতিসংঘে তুলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তি বাতিল করা না হলেও এর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।