ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫
তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বিরোধী দলের একাধিক আইনপ্রণেতা এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের নেসেট সদস্য নামা লাজিমি বলেন,
“নেতানিয়াহু আমাদের দেশের ভবিষ্যৎকে তাঁর ব্যক্তিগত মামলার সঙ্গে শর্তযুক্ত করে তুলেছেন। তিনি যুদ্ধ শেষ করে ও রাজনৈতিক মীমাংসার মাধ্যমে নিজেকে দোষমুক্ত প্রমাণে ব্যস্ত।”
নেসেট সদস্য গিলাদ কারিভ এর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন,
“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট নেতানিয়াহুর দুর্নীতিগ্রস্ত চক্রের ফল। ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও নাগরিকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে এই সরকার।”
সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারের জন্য। তিনি বলেন,
“আমেরিকা প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে, আর এ ধরনের বিচার মেনে নেওয়া যায় না।”
তবে বিরোধী দল ইয়েশ আতিদ নেতা ইয়ার লাপিদ কড়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
“স্বাধীন রাষ্ট্রের আইন-আদালতের ওপর বাইরের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না।”
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা (কেস ১০০০, ২০০০, ও ৪০০০) চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে জেল খাটতে হতে পারে। মামলার বিচার শুরু হয় ২০২০ সালের মে মাসে, যা চলমান রয়েছে।
এছাড়া, গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
#ইসরায়েল #নেতানিয়াহু #গাজাযুদ্ধ #দুর্নীতিমামলা #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #হামাস #নেসেট #মধ্যপ্রাচ্য_সংকট #আন্তর্জাতিক_আদালত #মানবাধিকার #warcrimes