ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫
সিনেটর মুলিন বলেন,
“যেখানে মা–বাবা থাকবেন, সন্তানদেরও সেখানেই থাকা উচিত। আপনি কেন শিশুদের তাঁদের মা–বাবা থেকে আলাদা করবেন?”
মুলিনের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ—যেটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পরিকল্পনা করে—আবারও আলোচনায় এসেছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছে, যা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের লক্ষ্যে ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশের কার্যকারিতা সহজ করতে পারে।
যদিও আদালতের সিদ্ধান্তে আদেশটির বৈধতা স্পষ্ট করে বলা হয়নি, তবে এটি ভবিষ্যতে আইনগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের আইনে, কোনো শিশু মার্কিন মাটিতে জন্ম নিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পায়—সে তার মা–বাবা বৈধ হোক কিংবা অবৈধ অভিবাসী।
এনবিসির উপস্থাপক ক্রিস্টেন ওয়েলকার জিজ্ঞাসা করেন,
“যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছে এবং আইনত মার্কিন নাগরিক, তাঁদের কী হবে যদি তাঁদের অভিবাসী মা–বাবাকে দেশছাড়া করা হয়?”
এর উত্তরে মুলিন বলেন, শিশুদের তাঁদের মা–বাবার সঙ্গেই অন্য দেশে পাঠানো উচিত।
এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মানবাধিকারকর্মী ও অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন,
“এ ধরনের নীতি বাস্তবায়িত হলে পরিবার বিচ্ছিন্নতা, শিশু অধিকার এবং সংবিধান লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠবে।”
মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সবাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত। এটি ১৮৬৮ সাল থেকে কার্যকর একটি মৌলিক নীতি।
তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চাপে এই নীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদি কিছু রাজ্যে এই নীতি বাতিল বা সীমিত হয়, তবে রাষ্ট্রজুড়ে এক অভূতপূর্ব সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
#যুক্তরাষ্ট্র #জন্মসূত্রে_নাগরিকত্ব #মার্কওয়েইন_মুলিন #অবৈধ_অভিবাসী #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #ইমিগ্রেশন_নীতি #সুপ্রিম_কোর্ট #USImmigration #BirthrightCitizenship #USPolitics #HumanRights