ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
“মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দেওয়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। জনগণ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চায়, যুদ্ধের নয়।”
বৃহস্পতিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের এক নাগরিক সমাবেশে এই বক্তব্য দেন তিনি।
দুদু অভিযোগ করেন, রাখাইন পরিস্থিতিকে পুঁজি করে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার “একটি ঘৃণ্য কৌশল” বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশ কোনো উপনিবেশে পরিণত হতে পারে না।”
তিনি বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন,
“গত ১৫-১৬ বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হয়নি। আজকের প্রজন্ম একটিও ভোট দিতে পারেনি। এই শূন্যতা শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি গণতন্ত্রের মৃত্যু।”
শামসুজ্জামান দুদু বলেন,
“এই সরকার নিয়মিত বা নির্বাচিত সরকার নয়। যারা নিজেদের নির্বাচিত বলেন, তারা আত্মপ্রতারণা করছেন। জনগণ যে সম্মান দিয়ে আপনাকে বসিয়েছে, সেই সম্মান রাখুন—ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করুন।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন,
“বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের রক্তে, কামার-কুমার, রিকশাচালক, কৃষক-শ্রমিকদের শ্রমে। যুদ্ধের সময় ভদ্রলোকেরা ছিল পিছনে, সামনে ছিল গ্রামীণ জনগণ। এখনো তারা-ই দেশের মূল শক্তি।”
দুদু বলেন, ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে তরুণ প্রজন্ম সাহস দেখিয়েছে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধেও সেই তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে।
প্রতিবেশী দেশের “ঘৃণ্য কৌশল” এবং ফ্যাসিস্ট আশ্রয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
“বাংলাদেশকে অশান্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ।”
সভাপতিত্ব করেন 'দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের' সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
উপস্থিত ছিলেন:
সাবেক এমপি শামিম কায়সার লিংকন
কৃষক দলের পাঠাগার সম্পাদক রাজি
সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।