ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
প্রকল্পের গায়ে সবুজ রঙ লাগিয়ে বা নিয়মতান্ত্রিকতার নামে কাজ করলেই পরিবেশ রক্ষা হয় না।"
তিনি বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজিত এক পরামর্শ কর্মশালায় এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি এবং টেকসই উন্নয়ন”।
✅ কেবল চেকলিস্ট পূরণ করলেই হবে না
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (EIA) যদি জনসাধারণ বুঝতে না পারে, তাহলে সেটা কোনও কাজেই আসে না। শুধু রিপোর্ট তৈরি নয়, তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি এখনো অনেক প্রকল্পে ‘পরবর্তীতে ভাবার’ বিষয়ে রয়ে গেছে। এই মানসিকতা না বদলালে পরিবেশ ধ্বংস রোধ সম্ভব নয়।”
🧭 তথ্যের অধিকার ও স্বচ্ছতা জরুরি
তিনি জানান, জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে সম্মান করতে হবে। “পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি—সব EIA প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। অভিযোগের জবাব দেওয়া দয়া নয়, দায়িত্ব।”
🏛️ পরিবেশ শুধু এক মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়
“পরিবেশ রক্ষা কেবল পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়,”—জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রশাসনিক সমন্বয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা এবং সংস্কার ছাড়া পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়।”
🌿 প্রকৃতি বাদ দিলে উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশের বায়ু, নদী, জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে। প্রকৃতিকে উন্নয়নের মূলকেন্দ্রে না আনলে কোনও প্রকৃত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
🗣️ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন...
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। আরও বক্তব্য দেন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, ইউএনডিপির প্রতিনিধি সোনালি দয়ারত্নে, বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ ড. মো. আলী রেজা খান এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. সোহরাব আলী।
📢 বার্তা পরিষ্কার
এই কর্মশালার মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলা হয়—টেকসই উন্নয়ন কেবল পরিসংখ্যান নয়, বরং প্রকৃতির প্রতি সম্মান, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা—এই তিনের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে তুলতে হবে আগামীর বাংলাদেশ।